উন্নত বিশ্ব সব সময় শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়। যেমন প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিক্ষকের টিচিং কোয়ালিফিকেশন ডিগ্রী বাধ্যতামূলক, তবে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ন্যূনতম এক বছরের পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা করার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে সবার পেশাগত বিকাশ বাঞ্ছনীয়। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে আমি অস্ট্র্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে মাস্টার অব টিচিং করতে আগ্রহী হয়েছিলাম। ইউনিভার্সিটি আমাকে ব্লেন্ডেড মোডে প্রোগ্রামটি করার পরামর্শ দিয়েছিল, যেখানে বেশিরভাগ কোর্স অনলাইনে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, কিন্তু কিছু কোর্সের জন্য সরাসরি সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সারাবিশ্বে তাদের সরাসরি প্রচলিত পরীক্ষা পরিচালনার জন্য দেশের বাইরের সংস্থা যেমনÑ বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে। তবে প্লেসমেন্ট বা ইন্টার্নশিপ অবশ্যই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে প্রচলিত পদ্ধতিতে হতে হবে। এটিই ব্লেন্ডেড শিক্ষা যা ভাল শিখন ফলাফলের জন্য মুখোমুখি ও অনলাইন শিক্ষার সর্বোত্তম অনুশীলনের মিশ্রণ।
ব্লেন্ডেড শিক্ষা আমাদের দেশের জন্য একটি বিস্তৃত পরিভাষা, যা ফিজিটাল বা অনলাইন পরিবেশে উচ্চ প্রযুক্তি (যেমন-ইন্টারনেটভিত্তিক), স্বল্পপ্রযুক্তি (যেমন- টিভি, রেডিও) বা প্রযুক্তিহীন (যেমন-ওয়ার্কশীট) অবস্থা নির্বিশেষে যুগপৎ ও অসমনিয়ত মিথস্ক্রিয়ার জন্য যে কোন প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষাকে বিবেচনা করে। এটি হলো সবচেয়ে উপযুক্ত শেখার এবং শিক্ষণের কৌশল এবং প্রযুক্তি ও মিডিয়াকে একীভূত করার একটি প্রক্রিয়া, যাতে অর্থপূর্ণ, নমনীয় শেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করা যায়। এই ধরনের শিক্ষার জন্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়ের শারীরিক এবং ভার্চুয়াল উপস্থিতি প্রয়োজন, যেখানে সময়, স্থান, পথ বা গতির ওপর শিক্ষার্থীর খানিকটা নিয়ন্ত্রণ থাকে। ব্লেন্ডেড শিক্ষা নিয়ে প্রমাণভিত্তিক গবেষণার বেশ কয়েকটি মেটা বিশ্লেষণে বলা হয়েছে যে, সম্পূর্ণ অনলাইন বা সম্পূর্ণ মুখোমুখি প্রচলিত শিক্ষার তুলনায় শিক্ষার্থীদের কৃতিত্ব ব্লেন্ডেড শিক্ষায় বেশি হয়।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সরকার শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির নেতৃত্বে ৬-৭টি মন্ত্রণালয়কে অন্তর্ভুক্ত করে প্রাক-প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত ব্লেন্ডেড শিক্ষার মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) জুলাই ২০২১-এ উচ্চ শিক্ষার জন্য জাতীয় ব্লেন্ডেড শিক্ষানীতি অনুমোদন করেছে, যা প্রোগ্রাম স্তরে বিবেচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে (যেমন বিএসসি ইন সিএসই) এবং একটি প্রোগ্রামের মোট ক্রেডিটের ৩৩-৪০% সংশ্লিষ্ট সংস্থার পূর্বানুমতি নিয়ে অনলাইনে নেয়া যাবে। এটি প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য একই রকম নয়। ব্লেন্ডেড শিক্ষায় সব সময় যে অনলাইন উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকে বিষয়টি এমন নয়। তাই জাতীয় টাস্কফোর্সের মাধ্যমে আরও ব্যাপক কৌশল গৃহীত হয়েছে।
গত ১৩ বছরে (২০০৯-২০২১) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের ফলে সারাদেশে প্রায় প্রতিটি সেক্টরে বিশাল আইসিটি অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়ও পরিবর্তন এসেছে। তাই সবার জন্য অর্থপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ব্লেন্ডেড শিক্ষা চালুকরণের সকল প্লাটফর্ম এখন প্রায় প্রস্তুত। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০২১-এ এ টু আই-এর পলিসি উপদেষ্টা ব্লেন্ডেড এডুকেশন ফর অল (বেফা) ফ্রেমওয়ার্কের রূপরেখা দিয়েছিলেন, যা পরবর্তীতে জাতীয় ব্লেন্ডেড শিক্ষা মহাপরিকল্পনার (২০২২-২০৪১) ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বেফা ফ্রেমওয়ার্ক ৫টি স্তম্ভ নিয়ে গঠিত- শিক্ষণ-শেখানো কার্যক্রম, বিষয়বস্তু এবং রিসোর্স, মূল্যায়ন, শিক্ষকের সক্ষমতা বিকাশ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অবকাঠামো ও সেইসঙ্গে রয়েছে তিনটি সক্ষমতার গুণক- পলিসি, ব্যবস্থাপনা এবং অংশীদারিত্ব, যাদের ঘিরে পুরো মহাপরিকল্পনাটি আবর্তিত হয়েছে।
জাতীয় টাস্কফোর্স সম্প্রতি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ব্লেন্ডেড শিক্ষা মহাপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণের ওপর দুইদিনের একটি কর্মশালা সম্পন্ন করেছে এবং তাৎক্ষণিক (২০২৩ সালের মধ্যে), স্বল্পমেয়াদী (২০২৫ সালের মধ্যে), মধ্যমেয়াদী (২০৩১ সালের মধ্যে) এবং দীর্ঘমেয়াদী (২০৪১ সালের মধ্যে) পরিকল্পনার জন্য একটি কৌশল গ্রহণ করেছে। প্রতিটি উপ-কমিটি প্রয়োজনীয় বাজেটসহ কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে। উপ-কমিটিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা; মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা; উচ্চ শিক্ষা; চিকিৎসা শিক্ষা; মাদ্রাসা শিক্ষা; এবং কারিগরি শিক্ষা। এছাড়া উচ্চ শিক্ষা উপ-কমিটির অধীনে আরও তিনটি বিভাগ রয়েছে- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (২.৮ মিলিয়ন শিক্ষার্থীসহ ২২৫৭ কলেজ), উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (৯ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীসহ ১ হাজার ৫৫০টি অধ্যয়ন কেন্দ্র) এবং ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় (২ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীসহ ১৭০৭ ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা)।
কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন বিশ্বব্যাপী ১.৬ বিলিয়ন শিশু স্কুল বন্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ইউনিসেফের বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায় যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধি এবং শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশাধিকার একটি দেশের জিডিপি বাড়াতে পারে। বিশ্বব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংযোগের মানচিত্র এবং মূল্যায়ন বিনিয়োগকে উদ্দীপিত করার জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। কমিউনিটিকে শেখানোর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যে কোন উপলক্ষ উদ্যাপনের জন্য, সঙ্কটের সময়ে, ভোট দেয়া, স্বাস্থ্য ও জরুরী পরিষেবাগুলোপেতে ভূমিকা পালন করে। দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারলে ডিজিটাল বিভাজন কমবে এবং ভিশন-২০৪১ অর্জন সহজতর হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যকর শিক্ষণ-শিখন নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অবকাঠামোর তিনটি প্রধান উপাদান গুরুত্বপূর্ণ- ডিভাইস, প্লাটফর্ম এবং প্রান্তিক ব্যবহারকারীর সংযোগ। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ১২তম সর্বোচ্চ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী এবং সমগ্র এশিয়ায় ৫ম সর্বোচ্চ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশ। ডিজিটাল ডিভাইসের স্থানীয় বাজার ২৯.৩% বার্ষিক বৃদ্ধির হারসহ $ ১.৫ বিলিয়ন। ডিজিটাল ডিভাইসের জন্য ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ আইডিয়াকে আরও ভাল সাশ্রয়ী, পরিষেবা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিষয়বস্তুর জন্য একটি ভাল বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রতিটি ক্লাসে অনলাইনে ব্লেন্ডেড শিক্ষার সুবিধার জন্য একটি স্মার্ট টিভি এবং নীতিগতভাবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য একটি ডিজিটাল ডিভাইস থাকা উচিত। ‘একটি ছাত্র-একটি ডিভাইস-একটি স্বপ্ন’ কার্যকরী ব্লেন্ডেড শিক্ষার জন্য এই স্লোগানটি নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি ভাল ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা হওয়া প্রয়োজন।
একটি কার্যকর ব্লেন্ডেড শিক্ষার জন্য উপযুক্ত ইন্টারেক্টিভ বিষয়বস্তুসহ একটি স্থিতিশীল, এ্যাক্সেসযোগ্য এবং সাশ্রয়ী লার্নিং ও কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলসিএমএস) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তপাঠ, কিশোর বাতায়ন, শিক্ষক বাতায়ন, টেন মিনিট স্কুল, গো-এডু, আইওইউসহ বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম দেশের ব্লেন্ডেড এবং অনলাইন শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে ৭৫,৭৮,৫৫৬+ উপকরণ, ১৪০ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবগুলোর জন্য ডিজিটাল ইন্টারেক্টিভ কোর্স এবং ভবিষ্যতের দক্ষতায় সক্ষম করার ৪০০০+ টুলসের ওপর ডিজিটাল সামগ্রী। এলএমএস জিরো এক্ষেত্রে একটি কার্যকর তাৎক্ষণিক সমাধান হতে পারে।
দেশের মোট ৪ হাজার ৫৫৪টি ইউনিয়ন এবং ৯৭টি সাইটকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে সংযুক্ত করার একটি মেগা পরিকল্পনা সরকার বেশ কয়েকটি প্রকল্প এবং সংস্থা যেমন- ইনফো সরকার-৩ (২৫৮৬), বিটিসিএল (১২১৬), কানেক্টেড বাংলাদেশ (৬১৭) এবং স্যাটেলাইট (১২)-এর মাধ্যমে গ্রহণ করেছে। এখন দেশের প্রায় ১ লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটিকে সংযুক্ত করার জন্য নিকটতম পয়েন্টস অব প্রেজেন্স বা মোবাইল টাওয়ার থেকে স্কুল পর্যন্ত অবকাঠামো ডিজাইনও তৈরি করা সরকারের পক্ষে সহজ হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি শ্রেণীকক্ষ বা শিক্ষকের কক্ষে ন্যূনতম ২০ এমবিপিএস এবং প্রতিটি কম্পিউটার ল্যাবে ৩০-৫০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ প্রদানের জন্য বিডিরেন নামক একটি উচ্চ কর্মক্ষমতাসম্পন্ন কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক রয়েছে। সম্প্রতি সরকার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ফর স্কিলস, এডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট এ্যান্ড অনট্রাপ্রেনারশিপ (নাইস-৩) চালু করেছে এবং প্রয়োজনভিত্তিক পাঠ্যক্রম, ফলাফলভিত্তিক শিক্ষা, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, বিভিন্ন ইন্টার্নশিপ এবং প্লেসমেন্ট প্রোগ্রাম ইত্যাদির ওপর বেশি জোর দিয়েছে। এখন আমাদের কার্যক্ষম লোকের সংখ্যা যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি। তবুও বিদেশীরা এখনও আমাদের চাকরির বাজারে বিশেষ করে কারিগরি, বিভিন্ন শিল্প, কর্পোরেট ফার্ম এবং বহু জাতীয় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। এই প্রবণতার কারণে বাংলাদেশ থেকে বার্ষিক $ ৬ বিলিয়ন রেমিট্যান্স বহির্গমন হয়। তাই আমরা যদি আমাদের বৃহৎ জনসংখ্যাকে ব্লেন্ডেড শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পারি তাহলে তা আমাদের চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে আরও শক্তিশালী করবে।
কোভিড-১৯-এর সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং সংশ্লিষ্ট অন্য সংস্থাগুলোর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের কারণে এত দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্লেন্ডেড এবং অনলাইন শিক্ষায় আমাদের আজ যে অগ্রগতি হয়েছে তা অবিশ্বাস্য, অন্যথায় এটি ৫-১০ বছর লাগতে পারত। ব্লেন্ডেড শিক্ষা মহাপরিকল্পনা (২০২২-২০৪১) একটি বিপ্লব হবে, যদি আমরা এটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি এবং অনুশীলনে রূপান্তর করতে পারি। আমরা কি আশা করতে পারি না যে, ২০৪১-এর উদ্ভাবনী বাংলাদেশের অন্তত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে থাকবে, বিদেশী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জাতীয় অর্থনীতিতে ১০ বিলিয়ন টাকা অবদান রাখবে এবং প্রতি বছর ন্যূনতম ৫০০ গবেষণা বাণিজ্যিকীকরণ এবং/অথবা পেটেন্ট করতে পারবে? আসুন উদ্ভাবন করি, অনুকরণ নয় এবং দেশকে সমৃদ্ধ করি।
লেখক : ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ব্লেন্ডেড লানিং সেন্টারের পরিচালক, প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, আইসিটি ও শিক্ষা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি