মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ইলেক্টোরাল কলেজ বিতর্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া বেশ জটিল, এবং কেন্দ্রে রয়েছে বিতর্কিত "ইলেক্টোরাল কলেজ" ব্যবস্থা। এই পদ্ধতির পেছনের যুক্তি ও সমালোচনা, এবং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
ইতিহাস ও উদ্দেশ্য:
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়করা দেশের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার জন্য এই পদ্ধতি তৈরি করেন।
- ১৭৮৭ সালে মার্কিন মিনি কংগ্রেস হিসেবে এই পদ্ধতি চালু করা হয়।
- শ্বেতাঙ্গ এবং কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার জন্যও এই পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়েছিল।
বিভিন্ন রাজ্যে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট
ইলেক্টোরাল কলেজ কীভাবে কাজ করে:- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ৫৩৮ টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে।
- প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে ইলেক্টোরাল ভোট বরাদ্দ করা হয়।
- যে প্রার্থী একটি রাজ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় ভোট পান, সেই প্রার্থী ঐ রাজ্যের সকল ইলেক্টোরাল ভোট পান।
- একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে 270 টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হবে।
বিতর্কের কারণ:
- জনগণের ভোটে জয়ী না হয়েও ইলেক্টোরাল ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- 2016 সালে হিলারি ক্লিনটন জনপ্রিয় ভোটে জয়ী হলেও ইলেক্টোরাল ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান।
- এই পদ্ধতিকে "অগণতান্ত্রিক" বলে সমালোচনা করা হয়।
ভবিষ্যৎ:
- ইলেক্টোরাল কলেজ ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে।
- জনপ্রিয় ভোটের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দাবি জানানো হচ্ছে।
- কংগ্রেসে এই ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য আইন প্রস্তাব করা হয়েছে।
উপসংহার:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া বিতর্কের কেন্দ্রে। ইলেক্টোরাল কলেজ ব্যবস্থার সমালোচনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি পরিবর্তিত হবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়করা দেশের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার জন্য এই পদ্ধতি তৈরি করেন।
- ১৭৮৭ সালে মার্কিন মিনি কংগ্রেস হিসেবে এই পদ্ধতি চালু করা হয়।
- শ্বেতাঙ্গ এবং কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার জন্যও এই পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়েছিল।
বিভিন্ন রাজ্যে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট |
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ৫৩৮ টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে।
- প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে ইলেক্টোরাল ভোট বরাদ্দ করা হয়।
- যে প্রার্থী একটি রাজ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় ভোট পান, সেই প্রার্থী ঐ রাজ্যের সকল ইলেক্টোরাল ভোট পান।
- একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে 270 টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হবে।
বিতর্কের কারণ:
- জনগণের ভোটে জয়ী না হয়েও ইলেক্টোরাল ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- 2016 সালে হিলারি ক্লিনটন জনপ্রিয় ভোটে জয়ী হলেও ইলেক্টোরাল ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান।
- এই পদ্ধতিকে "অগণতান্ত্রিক" বলে সমালোচনা করা হয়।
ভবিষ্যৎ:
- ইলেক্টোরাল কলেজ ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে।
- জনপ্রিয় ভোটের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দাবি জানানো হচ্ছে।
- কংগ্রেসে এই ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য আইন প্রস্তাব করা হয়েছে।
উপসংহার:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া বিতর্কের কেন্দ্রে। ইলেক্টোরাল কলেজ ব্যবস্থার সমালোচনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি পরিবর্তিত হবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।