যা খেলে গাজার নেশা কাটে
মানুষ কেন গাঁজা খায়
অনেকেই জীবনের চাপ ও মানসিক
অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে
গাঁজা বা ক্যানাবিসের আশ্রয়
নেয়। মনে শান্তি আনতে,
শরীরকে স্থির করতে, কিংবা কিছুক্ষণের জন্য সবকিছু ভুলে
গিয়ে হারিয়ে যেতে চাইলে অনেকেই
ক্যানাবিস ব্যবহার করেন। এটি উত্তর ভারতে
ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি নেশাদ্রব্য, যা
মূলত গাছের পাতা থেকে তৈরি
হয়। ক্যানাবিসের ব্যবহার বহুপ্রাচীন এবং সংস্কৃতির অংশ
হিসেবেও দেখা যায়। বিশেষ
করে কিছু উৎসবের সময়
এর ব্যবহার আরও বেশি বেড়ে
যায়, যখন ছোট থেকে
বড় সবাই ক্যানাবিস গ্রহণ
করে।
গাঁজাসেবন সাধারণত হালকা নেশা হিসেবে ধরা হলেও এর অতিরিক্ত সেবন বিপজ্জনক হতে পারে। এটি স্নায়ুতন্ত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় এবং ব্যক্তি তার দৈনন্দিন কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। অতিরিক্ত নেশা চিন্তাশক্তিকে ধ্বংস করে এবং কখনও কখনও হাসপাতালের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজনও পড়তে পারে। গাঁজা সেবনের ফলে ব্যক্তির চিন্তাধারা অস্পষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং সে সময়কালের কিছু অংশ বা পরিচিত ব্যক্তিদের চিনতে সমস্যা হতে পারে।
কি খেলে গাজার নেশা কাটে
টক ফল: কমলা,
আঙুর, লেবুর মতো টক ফলের
মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস নেশার কেমিক্যালগুলো
নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে।
টক ফল খেলে এক
ঘণ্টার মধ্যে নেশার প্রভাব কমে যেতে পারে।
টক পদার্থ: লেবু,
টক দই, আমলার শরবত
বা কাঁচা আমের শরবত খেলে
নেশা কমে যায় এবং
স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
নারকেলের জল: নারকেলের জল
শরীরের শুষ্কতা কমিয়ে নেশার প্রভাব হ্রাস করতে পারে। এতে
থাকা মিনারেল ও ইলেক্ট্রোলাইট শরীরকে
পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।
লেবুর শরবত: লবণ ও চিনি ছাড়া লেবুর শরবত দিনে কয়েকবার খেলে নেশা কেটে যেতে পারে। লেবু চাটলেও উপকার মেলে।
সরিষার তেল: অতিরিক্ত নেশার
কারণে কেউ অচেতন হয়ে
পড়লে তার কানে সরিষার
তেল দিলে নেশা কাটতে
পারে।
চানা ও কমলা:
ভাজা ছোলা এবং কমলালেবু
খাওয়ালে নেশা দ্রুত কেটে
যেতে পারে।
দেশী ঘি: বিশুদ্ধ
দেশী ঘি ক্যানাবিসের নেশা
কাটাতে কার্যকর হতে পারে। প্রায়
৫০০ মিলিলিটার ঘি সেবন করলে
এর প্রভাব দেখা যায়।
আদা: এক টুকরো আদা খাওয়ালেও নেশা কমে যেতে পারে।
এই উপায়গুলো প্রাথমিকভাবে
ক্যানাবিসের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে
যদি নেশা কাটতে না
চায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।